কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার পুলিশসহ সাতজনকে ৭ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বেলা ১১টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া সাতজনের মধ্যে ৩ জন সাক্ষী রয়েছেন। এর আগে গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি জামিল উল হক তিন আসামি নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াশকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ডে পাঠানো চার পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, কামাল হোসেন ও সাফানুর করিম।
গত ৬ আগস্ট টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও পুলিশের উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।