কিশোরগঞ্জ সদরসহ দেশের ১১টি উপজেলায় আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন শোলমারা এলাকায় এই আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত ছিলেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। চলতি মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এতে করে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরির নতুন উদ্যোগ নেওয়া হলো।
প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে পাঁচ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, আটটি ছয়তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ইনকিউবেশন ভবন নির্মাণ এবং তিনটি চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ইনকিউবেশন ভবন তৈরি। এছাড়া পরামর্শক নিয়োগ, ১০টি যানবাহন সংগ্রহ, অভ্যন্তরীর্ণ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন, অভ্যন্তরীর্ণ রাস্তা নির্মাণ, বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার এক্সিসরিজ, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল মেশিনারিজ সংগ্রহ, ফার্নিচার সংগ্রহ এবং জনবল নিয়োগসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
দেশে এ পর্যন্ত ৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক ও নাটোরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইকনিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া কলিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক, সিলেট ও রাজশাহীতে বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে।