কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের সাঁতারপুর গ্রামে এই শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয় এবং শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার পর রাতেই ধর্ষক মোহাম্মদ আলী (৪৫) পালিয়েছে। সে সাঁতারপুর গ্রামের মৃত আবু হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে শিশু ও নারীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতের খাবার শেষে শিশুটি নিজেদের ঘরে বাবা-মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। মধ্যরাতের দিকে লম্পট মোহাম্মদ আলী সিঁধ কেটে তাদের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুটিকে বাড়ির পাশের ফসলি মাঠে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে ফেলে রেখে যায়। শিশুটির আর্তচিৎকার শুনে গ্রামের এক মহিলা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লোকজন দেখলেই ভয় আর আতঙ্কে কান্না করছে শিশুটি।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষক মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে।