দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে ডিবি পুলিশ। আদালত তাদের গারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। আসামিরা হলেন, নবীরুল ইসলাম (৩৪) ও সান্টু কুমার (২৮)।
দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন এই তথ্য নিশ্চত করেন।
এদিকে রিমান্ডে থাকা এই মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে আগামীকাল শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসামি রিমান্ডে আছে, রিমান্ড শেষ হলেই চলে আসবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর বলেন, আসামিদের সবার রিমান্ড এখনও শেষ হয়নি। তাদের রিমান্ডে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। তবে রিমান্ড শেষে সব বিষয়গুলোই জানানো হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার ৩ জনের মধ্যে দুই আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে ৭ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছিলেন আদালত। ওইদিন রাতেই তাদেরকে নিজ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ডিবি।
এদিকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল ইসলামকে গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। সেই হিসেবে শনিবার তারও রিমান্ড শেষ যাওয়ার কথা। তবে তাকে শনিবার অথবা রোববার আদালতে তোলা হবে কিনা এখনও সেই বিষয় জানানো হয়নি।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় গত কয়েকদিনে ২৫ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যাদের মধ্যে ৫ জন সরকার দলীয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া যুবলীগের ৪ জন নেতা ও আওয়ামী লীগের একজন নেতার মধ্যে সর্বশেষ আটক ঘোড়াঘাট পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ওয়াকার আহমেদ নান্নু ও পালশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ওরফে ময়নুল মাষ্টার এখনও আটক আছেন।
আর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানাকে। আর অপর যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলামকে হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে র্যাব।
শুক্রবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া মোতালিব, হুমায়ুন কবীর, শাহীন হোসেন ও লালমিয়া নামে ৪ জনকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।