লাইফস্টাইল ডেস্ক : মেয়ের বয়স ১২ পার হতেই এখন আর বিয়ের কথা ভাবেন না মা-বাবা। মেয়েরাও ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তবেই না বিয়ের পিঁড়িতে বসবে।
তাই নিজের অজান্তেই বেশ কিছু সময় পার হয়ে যায় প্রতিষ্ঠিত হতে হতে।
একটা সময় পর বিয়ে করেন মেয়েরা। এরপর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে মেয়েরা আগ্রহী হয়ে উঠে। খুব সহজেই অনেকের এই ইচ্ছাটা পূরণ হলেও অধিকাংশের দেখা দেয় নানা সমস্যা, নানা বিড়ম্বনা। তাই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া তখন খুবই জরুরি। ডাক্তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ধরা পড়লো মেয়েটি শারীরিক উর্বরতাজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
এই সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ মেয়ের ক্ষেত্রেই। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে শুধু কিছু খাদ্যাভাস। গবেষকরা এ সমস্যার সমাধান বের করতে গিয়ে কিছু খাবার নির্ধারণ করেছেন। যা পারে একটি মেয়েকে তারা সন্তান ধারণে উর্বরতা শক্তি বাড়িয়ে দিতে। এমনই কিছু
খাবারের তালিকা তুলে ধরা হলো…..
ডিম :
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নারীদের উর্বরতা বাড়াতে ডিম খেতে বলেছেন। সম্প্রতি তারা এক গবেষণায় পেয়েছেন মাত্র ৭% নারীর শরীরে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ডি আছে। বাকি সবাই ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রায় ভুগছেন। তাই নারীদের তারা ডিম খেতে বলেছেন। কারণ ডিমে প্রচুর ভিটামিন ডি আছে।
কলা :
কলায় ভিটামিন বি-৬ আছে যা নারীদের নিয়মিত মাসিক হতে সহায়তা করে। এছাড়া দুর্বল ডিম্বাণু সবল করে উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কলা হরমোনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাই গবেষকরা নারীদের কলা খেতে বলেছেন।
বাদাম :
বাদামে আছে প্রচুর পরমাণে ভিটামিন-ই। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে ভিটামিন-ই-এর চাহিদা পূরণ হবে। যা উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করবে তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণ এ্যন্টি-অক্সিড আছে। যা ডিম্বাণুকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
মটরশুটি :
মটরশুটিতে আছে প্রচুর জিংক। যা নারীদের হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে। জিংক এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টরনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই নিয়মিত মটরশুটি খাওয়া উচিত।
লেবু :
টকজাতীয় ফল যেমন লেবু শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে নারীদের গর্ভধারণে সহায়তা করে।
তাই হাতের কাছে পাওয়া এসব খাবার নিয়মিত খেলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।