আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে ওসি প্রদীপের ‘ডান হাত’ খ্যাত রুবেল শর্মা নামের আরো এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রুবেল টেকনাফ থানার পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে আদালত থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রুবেলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। র্যাবের পক্ষ থেকে রিমান্ড চাওয়া হয়নি। আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের কনস্টেবল রুবেল শর্মার নাম আসে। এ কারণে রোববার রাতে র্যাবের একটি দল রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
মেজর মেহেদী হাসান আরও জানান, রুবেল শর্মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেজর সিনহা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয় তাকে। তবে এখনো কোনো রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে পরবর্তীতে তাকে রিমান্ড নেয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রুবেল শর্মা ওই সিন্ডিকেটেরই একজন। ওসি প্রদীপের সাথে সকল ‘অপারেশনে’ থাকতেন তিনি। অনেকেই তাকে ওসি প্রদীপের ‘ডান হাত’ হিসেবেও জানতো।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মামলাটি র্যাবকে তদন্তভার দেয়া হয়।
৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের ৭ সদস্য। গত এক মাসে র্যাব এপিবিএন’র ৩ সদস্য, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষীকে আটক করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে। ১২ জন আসামি এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর মধ্যেই আজ আদালতে নতুন আবেদনটি করলো মামলার বাদী।