জয়পুরহাটে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী বাবুল সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক গোলাম সারোয়ার এ রায় প্রদান করেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর এলাকার তমেজ উদ্দীনের মেয়ে তানজিলা বেগমের সঙ্গে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার শফিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে বাবুল সরকারের বিয়ে হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন।
সেই চাকরির টাকা থেকে বাবুলের স্ত্রী তানজিলা বেগম জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বাড়ি করার জন্য চার শতক জায়গা কিনে। কিন্তু তার স্বামী তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে গাজীপুরে বাড়ি করার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয়। এতে স্ত্রী রাজী না হওয়ায় স্বামী বাবুল সরকার ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সময় ঘুমন্ত অবস্থায় তানজিলাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন।
পরদিন নিহতের বড় বোন তৌহিদা বেগম বাদী হয়ে বাবুল সরকারকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি বাবুল সরকার গ্রেপ্তার করে। ২০১৭ সালের ২২ মে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে বাবুল সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বাবুল সরকার স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বাবুল সরকারকে উল্লেখিত দণ্ড প্রদান করেন।