muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

প্রয়োজনে ১০ দিন পেঁয়াজ খাবো না : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণের সিন্ডিকেট করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমরা ১০ দিন পেঁয়াজ খাবো না। ভারত থেকে আমদানি বন্ধের পর বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় আমাদের নিজস্ব পেঁয়াজের উৎপাদন একটু বেশি হয়েছে। সেটাও আমাদের যে প্রয়োজন তার থেকে কম। ৫ থেকে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের দরকার। অন্যান্য বছর ৭/৮ লাখ টন পেঁয়াজ আমরা আমদানি করি। এবারও আমরা তাই করছিলাম। বৃষ্টির জন্য মাঝখানে পেঁয়াজের দামটা একটু ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমরা মনে করেছিলাম বন্যা বা বৃষ্টির পর সেটা ঠিক হয়ে যাবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর ২৫ থেকে ২৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের দেশে উৎপাদন হয়। তার মধ্যে থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের ইমপোর্ট করতে হয়। ভারতের রপ্তানি বন্ধ করার ৭ দিন আগের যে পরিসংখ্যান আমাদের কাছে আছে তাতে প্রতিদিনই ৩ হাজার সাড়ে ৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমাদের দেশে ঢুকছিল। এটা যোগ করলে মাস শেষে ১ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ আমদানি দাঁড়ায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে একটা চাপ পড়েছে।’

দেশে পেঁয়াজের মজুদ সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সারাদেশে যদি হিসাব করি ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের হাতে আছে। আমরা যদি হিসাবটা ধরি জানিয়ারি শেষ পর্যন্ত, তাহলে আমাদের দরকার প্রায় ১০ লাখ টন পেঁয়াজ। ৪ লাখ টন আমাদের ঘাটতি পড়ে বলা যায়। এই ৪ লাখ টন আমাদের আনতে হবে। ভারত বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আমরা চেষ্টা করছি অল্টারনেটিভ মার্কেট থেকে আনার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতবার বন্ধ করে দেওয়ার পর আমাদের অভিজ্ঞতা বাইরে থেকে আনার। মিয়ানমার, তুর্কি, মিসর, চায়নাসহ আরও কয়েটা দেশ থেকে পেঁয়াজ এসেছে। আমাদের কাছে যা স্টক আছে, আমরা এক মাস সময় পেলেই আমরা অল্টারনেটিভ মার্কেট থেকে তুরস্ক থেকে, মিসর থেকে, মিয়ানমার থেকে, চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবো।’

Tags: