muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ভারত থেকে দেশে ঢুকছে পেঁয়াজের ট্রাক

নানা নাটকীয়তার পর বাংলাদেশে ঢুকছে ভারতের পেঁয়াজ। পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ভারতের পেঁয়াজবাহী ট্রাক।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভারতের মাহাদিপুর স্থলবন্দর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবাহী প্রথম ট্রাক প্রবেশ করে। আরও অনেক ট্রাক প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সোনামসজিদ দিয়ে সাতটি ট্রাকে ১৯৯ টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে।

পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালকরা জানান, এখনও ভারতের বন্দরে তিন শ’র বেশি ট্রাক আটকে আছে। কয়েকদিন ট্রাকের পেঁয়াজ আটকে থাকায় গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন পাইকাররা। পচনশীল হওয়ায় আমদানিকাররা দ্রুত খালাস করবে পণ্যটি।

এদিকে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে হিলি স্থলবন্দরের ট্রাকগুলোও। এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ঢোকার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক চিঠিতে পেয়াঁজ রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ওই চিঠির বরাত দিয়ে পেঁয়াজ আমাদানিকারক হারুনুর রশিদ জানান, আগের খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে গেল রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজই প্রবেশের অনুমতি পাবে। এ সময় পর্যন্ত কি পরিমাণ পেঁয়াজের টেন্ডার হয়েছে নিশ্চিতভাবে তা জানা না গেলেও তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ২শ’ পেঁয়াজভর্তি ট্রাক। গরমের কারণে এসব ট্রাকের পেয়াঁজ নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

উল্লেখ্য ১৪ সেপ্টেম্বর বিকালে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিপরীতে যোগান ঠিক রাখতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন ঘোষণা আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকার আড়তগুলোতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। অনেক আড়তদার আবার বিক্রিও বন্ধ করে দেন।

Tags: