muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ঐক্যবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা মহামারি থেকে উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা বর্তমানে বৈশ্বিক হুমকি। এই উভয় ঝুঁকি প্রশমনে আমাদেরকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। আর তা করতে হবে ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে।’

ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে একথা বলেন। নিবন্ধটি গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।

নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগস্টে আমার দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্রায় দেড় কোটি মানুষ এতে বাস্তুচ্যুত হয়। লাখ লাখ হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে ভেসে যায়। ফলে লাখ লাখ মানুষের জন্য এ বছর খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। দুর্যোগ কখনো এককভাবে আঘাত হানে না। মে মাসে বন্যার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়। এর পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ইতোমধ্যে ২.৪ মিলিয়ন মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। তবে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনার কারণে লকডাউন আমাদের বস্ত্র শিল্প ও রপ্তানিকে আঘাত করেছে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বর্তমানে বেকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও লাখ লাখ মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা পদ্ধতি ও অর্থনীতিকে নিরাপদ করার চেষ্টা করছে।

বৈশ্বিক মোট নিঃসরণের ৮০ শতাংশের জন্য জি-২০ দেশগুলো দায়ী। প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছাড়া বিশ্ব সাফল্যজনকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সামাল দিতে পারবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি এখনো আমাদের জন্য সেরা সুযোগ। এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশ এই চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বন্ধে নিঃসরণ কমাতে সম্মিলিত পদক্ষেপের অঙ্গীকার রয়েছে।’

Tags: