muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

তিস্তার ন্যায্য হিস্যা না পেয়ে বিকল্প পথে হাঁটছে বাংলাদেশ

জলবায়ু পরিবর্তন তার ওপর দশকের পর দশক উজান থেকে পানির যথেচ্ছ নিয়ন্ত্রণে তিস্তা নদী উত্তরের মানুষের কাছে যেন অভিশাপ। উজানের দেশ ভারতের কাছে ন্যায্য হিস্যা চেয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল যখন শূন্য, তখন বিকল্প পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ। উপরন্তু উজানের একতরফা পানি প্রত্যাহারে শুষ্ক-মৌসুমে মরুভূমির হাহাকার আবার বর্ষার অস্বাভাবিক ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে পুরো জনপদ। এক বর্ষায় ৪-৫ বার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীবন ও বেঁচে থাকার অবলম্বন।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ভারত শুকনো মৌসুমে কোন পানি দেয় না। আর বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দেয়, এতে পুরো এলাকা শেষ করে দেয়।

এক নারী জানান, পানির স্রোতে এক রাতেই হাজার হাজার বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যায়।

ন্যায্য হিস্যার অপেক্ষা আর না করে বর্ষার পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে তিস্তা নিয়ে নতুন মহাপরিকল্পনা করছে সরকার।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেন, সরকার পানি সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প করতে যাচ্ছে, এটা বাস্তবায়ন হলে আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ভারত ও বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের একই রকম একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুই বছরের সমীক্ষা শেষে ঋণ সহায়তাসহ প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রস্তাব সরকারের কাছে জমা দিয়েছে চীন। যা স্বপ্ন দেখাচ্ছে অববাহিকার মানুষকে।

বাংলাদেশ রিভারাইন পিপল সংগঠক উমর ফারুক বলেন, নদী যে ভয়ংকর রূপ নিয়ে এসেছিলো; যদি সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তাবায়িত হয়; তাহলে নদী প্রাণ ফিরে পাবে।

রংপুর তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনার বাস্তাবায়নের আশা নিয়ে তিস্তার দুই পাড়ের মানুষ বসে আছে।

আপাতত সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প হলেও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে পুরো অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থা বদলে দেবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

Tags: