মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সরকার কিশোরগঞ্জ জেলার যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এখানে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি আজ এখানে আজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন কর্মসূচিতে ভাষণে বলেন, কিশোরগঞ্জে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ জেলার যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সুনাগরিক গঠনের কারখানা হিসেবে বর্ণনা করে রাষ্ট্রপতি দেশের উন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, জনগণের অর্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়-দায়িত্ব রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা স্মরণ করে বলেন, মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি অতীতের এই গৌরবের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান।
আজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনকে ঐতিহাসিক ও আনন্দদায়ক উল্লেখ করে তিনি শতবর্ষী এই স্কুলটির সাফল্যের পেছনে অবদান রাখার জন্য সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে আজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং সোহরাবউদ্দিনও বক্তৃতা করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৪-০১-২০১৬ইং/মইনুল হোসেন