নারী নির্যাতন ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে যে কয়কেজন যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে পেরেছেন, তাদের তালিকায় বেশ ওপরের দিকে থাকবে ফুলন দেবীর নাম। ভারতীয় আইনের চোখে তিনি সন্ত্রাসী, নিচু জাতের মাল্লাদের কাছে তিনি ত্রাণকর্তা। কাউকে বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে তিনি নিজেই লিখেছেন নিজের জীবনের বদলে যাওয়ার গল্প। তথাকথিত ভদ্র সমাজের চোখে কিংবা সমাজের উচ্চবর্ণের কাছে তাদের ভাষায় ‘ম্লেচ্ছ’ এই ফুলন দেবী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জারি রেখেছিলেন। তাইতো আজ থেকে ১৯ বছর আগে দিল্লিতে নিজ বাসভবনের সামনে যাকে গুলি করে মেরে ফেলাটা প্রভাবশালীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।
১৯৬৩ সালের ১০ আগস্ট ধরণীতে অবতরণ করেছিলেন ফুলন দেবী। উত্তর প্রদেশের ছোট্ট একটি গ্রাম ঘুরা কা পুরয়াতে থাকতেন তার বাবা–মা। মেয়ে হিসেবে জন্ম নেয়াই যেন মাল্লা সম্প্রদায়ের এই মেয়েটির আজন্ম পাপ। বাবা-মায়ের ঘাড়ের বোঝা হিসেবেই বিবেচনা করা হতো নিচু জাতের মেয়েদের। নিম্নবর্ণের মাল্লা সম্প্রদায়ের প্রধান পেশা হচ্ছে নৌকা চালানো। মাল্লা বলতে মাঝিদের বোঝানো হয়। মাঝির ঘরের আদরের কন্যা ফুলের দেবী ফুলন আর তার ছোট বোনের বিয়ের জন্য এক একর জায়গাজুড়ে নিমের বাগান করেছিলেন তাদের বাবা। জামাইয়ের মনমতো যৌতুক না দিলে মেয়েরা ভালো থাকবে কেন?
কিন্তু ফুলনের বাবার সেই সম্বলটুকুতেও বাগড়া বাধায় তারই আপন বড় ভাই। সব সম্পত্তি নিজের বলে ঘোষণা দিয়ে ছেলে মায়াদিনকে দিয়ে বাগানের গাছ কেটে বিক্রি করা শুরু করে দেয়। ছোটবেলা থেকেই জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো ফুটতে থাকা ফুলন এর ঘোর বিরোধিতা শুরু করে। মায়াদিনকে সে জনসম্মুখে চোর সাব্যস্ত করে। এর প্রতিশোধস্বরূপ, ৩০ বছর বয়সী পুট্টিলাল নামক এক লোকের সঙ্গে মাত্র ১১ বছর বয়সী ফুলনের বিয়ে ঠিক করে মায়াদিন। ফুলন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, পুট্টিলাল একজন অসৎ চরিত্রের লোক। শ্বশুরবাড়িতে শিশু ফুলনের সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং নির্যাতন চলত নিয়মিত। বাবার বাড়িতে ফিরে গেলেও সমাজের দিকে চেয়ে ফুলনের পরিবার তাকে আবার শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসে। অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ফুলন এবার মুখের ওপর প্রতিবাদ জানিয়ে স্থায়ীভাবে চলে আসে বাবার বাড়িতে। মাল্লা সমাজে স্বামী পরিত্যাগ করা নারীকে চরিত্রহীনা বলে কুনজরে দেখা হতো। কাজেই ফুলনকে নিয়ে একের পর এক কুৎসা রটতে থাকে গ্রামময়।
সেসব কথায় কান না দিয়ে পিতার সম্পত্তি রক্ষার জন্য লড়াই শুরু করেন ফুলন দেবী। কিন্তু মায়াদিন তাকে উল্টো ফাঁসিয়ে দিয়ে ১৯৭৯ সালে চুরির অভিযোগে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। তিন দিন কারাবাসের সাজা হয় ফুলনের। এই তিন দিন ধরে পুলিশের কাছে প্রথমবারের মতো গণধর্ষণের শিকার হয় সে। সেই অপরাধীদের কোনো শাস্তি না দিয়ে বরং কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকেই পরিবার ও গ্রাম থেকে বর্জন করা হয়! মালা সেনের লেখা ‘ইন্ডিয়া’স ব্যান্ডিট কুইন: দ্য ট্রু স্টোরি অফ ফুলন দেবী’ বইয়ে লেখা আছে, গ্রাম থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর স্থানীয় ডাকুরা তাকে অপহরণ করে। আবার কেউ কেউ বলেন, ডাকাতদলে যোগ দেয়ার জন্যই নাকি তিনি প্রথম স্বামীকে পরিত্যাগ করেন। সে যাই হোক, ডাকাতদলে শুরু হয় ফুলন দেবীর নতুন জীবন।
ফুলন দেবী যে ডাকাতদলের সদস্য ছিলেন তাদের নেতার নাম বাবু গুজ্জর। নিষ্ঠুর এই ডাকাতের চোখ পড়ে ফুলনের ওপর। বাবুর কাছে প্রায় কয়েক দফা ধর্ষিত হওয়ার পর তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে দলের দ্বিতীয় নেতা বিক্রম মাল্লা। স্বজাতির ওপর বাবু গুজ্জরের এই নির্মমতার প্রতিবাদে তিনি বাবুকে খুন করে নিজেকে দলের নেতা ঘোষণা করেন। নিষ্ঠাবান ডাকাত লুণ্ঠিত সম্পত্তি দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ চালু করেন। বিক্রমের প্রেমে পড়ে যায় ফুলন। ভালোবেসে দুজন দুজনকে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদায় গ্রহণ করেন। তাদের বিয়ের পর বিক্রমকে সঙ্গে নিয়ে ফুলন তার প্রথম স্বামী পুট্টিলালের গ্রামে গিয়ে জনসমক্ষে গাধার পিঠে উল্টো করে বসিয়ে গ্রামের আরেক প্রান্তে নিয়ে এসে মারধর করে। কোনো বয়স্ক পুরুষ যেন অল্পবয়সী কোনো মেয়েকে বিয়ে করে তার সাথে যেমন নির্যাতন করা হয়েছিল তেমনটা না করতে পারে, তার জন্য একটি হুঁশিয়ার বাণীস্বরূপ পত্রসমেত পুট্টিলালকে প্রায় আধমরা অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে আসে তারা।
স্বামী বিক্রম মাল্লার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বন্দুক চালানো, গ্রাম লুণ্ঠন, ভূস্বামীদের অপহরণ, রেল ডাকাতি প্রভৃতি কাজে বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠেন ফুলন। প্রত্যেকবার ডাকাতি করে আসার পর দুর্গাদেবীর মন্দিরে গিয়ে প্রাণ রক্ষার জন্য দেবীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসতেন ফুলন। এদিকে প্রকৃতপক্ষে বিক্রমদের দলের প্রধান ছিল শ্রীরাম নামক এক ঠাকুর সম্প্রদায়ের ডাকাত। সে সময় ঠাকুরদের সঙ্গে মাল্লাদের ব্যবধান এতটাই বেশি ছিল যে, তারা এক জায়গায় পানির পাত্রও রাখতে পারতো না। শ্রীরাম ও তার ভাই লালারাম জেলহাজতে বন্দি থাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে তাদের জামিন করায় বিক্রম। দলের নেতৃত্বও তাদের হাতে তুলে দিতে চায় সে। কিন্তু নিচু সম্প্রদায়ের ডাকাতরা জানত, শ্রীরাম আসলে ঠাকুর আর পুলিশদের গুপ্তচর। কাজেই তারা কেউ শ্রীরামের নেতৃত্ব মানতে চায়নি। ফলস্বরূপ, ডাকাতদল মাল্লা ও ঠাকুর দুটি পৃথকদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দলের মধ্যে এই বিভাজন মানতে পারেনি শ্রীরাম। যার কারণে তার প্রধান শত্রু বনে যায় বিক্রম। পরপর দু’বার চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে পথের কাঁটা দূর করে ফুলনকে অপহরণ করে তারা।
কানপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের একটি গ্রাম বেহমাই। এই গ্রামের একটি ঘটনাই ফুলন দেবীকে ভয়ংকর ডাকাতে পরিণত করেছে, দস্যুরানী হিসেবে যে পরিচয় তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বহন করেছেন, তার সূত্রপাত ঘটে এখানে। অপহরণের পর ফুলন দেবীকে বেহমাই গ্রামে নিয়ে এসে প্রায় উলঙ্গ করে পুরো গ্রামবাসীর সামনে হাজির করে শ্রীরাম। বিক্রমের হত্যাকারী দাবি করে তার ওপর অত্যাচার করার নির্দেশ দেয়া হয় গ্রামবাসীদের। প্রথমে শ্রীরাম, এরপর একে একে ঠাকুর সম্প্রদায়ের বহুলোক প্রায় ২৩ দিন ধরে তার উপরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। গণধর্ষণের একপর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে ফেলে দিয়ে যায় মানুষরূপী পশুর দল। কোনোমতে একটি গরুর গাড়িতে উঠে বেহমাই থেকে পালিয়ে আসে ফুলন।
অবশ্য একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ফুলন দেবী নিজমুখে কখনো এই গণধর্ষণের কথা সরাসরি স্বীকার করেননি। তার আত্মজীবনীর লেখিকা মালা সেনকে বলেছেন, “ওরা আমার সঙ্গে অনেক অন্যায়-অত্যাচার করেছে”। এই একটি লাইনকেই অবশ্য ফুলন দেবীর সার্বিক অবস্থার প্রতীকীরূপ বলে বিবেচনা করা যায়। তবে ধরে নেয়া যায়, বাইরে থেকে যতই দুর্ধর্ষ মনে হোক না কেন, লোকলজ্জার ভয়কে দস্যুরাণী নিজেও উপেক্ষা করতে পারেনি। স্থানীয়রা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে ধর্ষণের শিকার অন্যান্য নারীদের মতো চুপ করে বসে থাকেনি ফুলন। নিজের অপমানের প্রতিশোধ নিতে তৎপর হয়ে ওঠে। বিক্রমের এক বন্ধু, মান সিংহ, খবর পায় ফুলনের। তার সাহায্যে মুসলিম এক ডাকুসর্দার বাবা মুস্তাকিমের কাছে পৌঁছায় সে।
বাবা মুস্তাকিমের সাহায্যে মান সিংহ আর ফুলন মিলে গড়ে তোলে নতুন একটি ডাকাতদল। নির্যাতিত হওয়ার প্রায় ১৭ মাস পর, ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, শ্রীরাম আর লালারামের খোঁজ পায় ফুলন। তাদের হত্যা করতে এক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার উপর নির্যাতন চালানো দুই ঠাকুরকে চিনতে পারে সে। ক্রোধে অন্ধ হয়ে সেখানে উপস্থিত ২২ ঠাকুরকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে ফুলন। ইতিহাসে এই ঘটনা ‘বেহমাই হত্যাকাণ্ড’ বা ‘বেহমাই গণহত্যা’ নামে কুখ্যাত। এতে বেশকিছু নিরীহ ঠাকুর মারা যাওয়ায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভি.পি.সিং পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ধীরে ধীরে লোকের কাছে ‘দস্যুরাণী ফুলনদেবী’ শব্দযুগল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মায়াবিনী এই ডাকু সর্দারের সমস্ত ক্ষোভ কেবল ঠাকুরদের প্রতি, মাল্লাদের মতো নিচু সম্প্রদায় যেন তার ঘরের লোক। শহরগুলোতে তাই দুর্গার বেশে ফুলনের মূর্তির বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। এ যেন সত্যিকারের এক রবিনহুডের গল্প।
তবে এত বড় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে খুব সহজে ছাড় পায়নি ফুলন দেবী। ৪৮টি অপরাধকর্মের জন্য, যার মধ্যে ৩০টি ডাকাতি এবং অপহরণের অভিযোগ, প্রায় দু’বছর পুলিশকে নাস্তানাবুদ করে অবশেষে কিছু শর্তসাপেক্ষে পুলিশে কাছে ধরা দেয় ফুলন দেবী। শর্তগুলো ছিল-
ফুলন ও তার অন্যান্য সঙ্গীরা কেবল মধ্যপ্রদেশে আত্মসমর্পণ করবে, বিচারের জন্য তাদের উত্তরপ্রদেশে নেওয়া যাবে না। তাদের ফাঁসি দেয়া যাবে না এবং ৮ বছরের বেশি সময় কারাবাস হবে না। মায়াদিন কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করা জমি ফুলনের পিতাকে ফেরত দিতে হবে। ফুলনের পিতা-মাতাকে মধ্যপ্রদেশে পাঠিয়ে দিতে হবে এবং সরকার ফুলনের ভাইকে চাকরি দেয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
ফুলনের সব কয়টি শর্ত মেনে নেয় সরকার। তবে ৮ বছরের বদলে তাকে ১১ বছর কারাবাস করতে হয়। বেহমাই হত্যাকাণ্ডের প্রায় দু’বছর পর ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৮ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করে ফুলন দেবী। ১৯৯৪ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জন্ম নেয় এক নতুন ফুলন। ১৯৯৬ সালে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ফুলনকে মির্জাপুর আসনে নির্বাচন করার জন্য বাছাই করে। রাজনৈতিক জগতে ফুলনের গুরু ছিলেন এই দলেরই নেতা মুলায়ম সিং যাদব। ভারতীয় জনতা পার্টি ও বেহমাই হত্যাকাণ্ডে নিহত ঠাকুরের স্ত্রীদের ঘোর আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সেবার নির্বাচনে জয়লাভ করে ফুলন। ১৯৯৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হেরে গেলেও, ১৯৯৯ সালের মির্জাপুর লোকসভা নির্বাচনে ফের তার আসন দখল করে একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী দস্যুরানী। মধ্য প্রদেশের জঙ্গল ছেড়ে অশোকা রোডের ঝাঁ চকচকে বাড়িতে গড়ে তোলে তার নতুন ঠিকানা।
জীবন বদলে গেলেও পেছনে ফেলে আসা দিনগুলো তাকে তাড়া করে ফেরে প্রতিনিয়ত। তার ব্যাপারে যে কারো কারো যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে, এ কথা তিনি নিজেও জানতেন। তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইন্দিরা জয়সিং জানান, “ফুলন সবসময় জানত অতীত তাকে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে। একজন নারী হয়ে পিতৃতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অনেকের চোখেই জনমভর সে একজন অপরাধী বৈ আর কিছুই নয়। এ কারণেই সে সবসময় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করত।”
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ২০০১ সনের ২৫ জুলাই তারিখে নতুন দিল্লিতে ফুলন দেবীকে হত্যা করা হয়। তার দেহরক্ষীও আহত হয়। সেই সময়ে তিনি সংসদ থেকে বের হয়ে আসছিলেন। হত্যাকারীরা তাকে গুলি করে অটোরিকশায় উঠে পালিয়ে যায়। হত্যাকারীরা ছিলেন শ্বের সিং রাণা, ধীরাজ রাণা ও রাজবীর। শ্বের সিং রাণা দেরাদুনে আত্মসমর্পণ করেন। হত্যাকারীরা প্রকাশ করেন যে বেহমাই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই হত্যা করা হয়েছে। এভাবেই পরিসমাপ্তি ঘটে চিরবিদ্রোহী এক নারীর ঘটনাবহুল জীবনের। তার জীবনী নিয়ে ১৯৯৮ সালে শেখর কাপুর পরিচালনা করেন ‘ব্যান্ডিট কুইন’ নামের একটি চলচ্চিত্র। এখানে ফুলনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সীমা বিশ্বাস। এর আগে ১৯৮৫ সালে অশোক রায়ের পরিচালনায় বাংলায় ‘ফুলন দেবী’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। আর মালা সেন রচিত তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ তো রয়েছেই। শারীরিক মৃত্যু হলেও ফুলন দেবীর মতো নারীরা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন নারী হলেও নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই বদলে দিতে জানেন, নিজের পরিচয় নিজেই গড়ে নিতেন জানেন।
সূত্রঃ রোয়ার বাংলা/ ইন্ডিয়া টাইমস