কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক নারী (২২) কে তিন দিন আটকে রেখে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শাহাবুদ্দিন (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় করিমগঞ্জ থানায় মামলা (নং-৬) দায়েরের পর বুধবার (৭ অক্টোবর) আসামি শাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। সে উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মো. সাত্তারের ছেলে এবং গুজাদিয়া পুরাতন বাজারের ইলেক্ট্রনিক ব্যবসায়ী। অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার নারী বর্তমানে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারী ইলেক্ট্রনিক ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের মামাতো বোন। বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে শাহাবুদ্দিন গত ১ অক্টোবর সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে রাতে গুজাদিয়া পুরাতন বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনের একটি কক্ষে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় শাহাবুদ্দিন। এভাবে পরের দুইদিন ২ ও ৩ অক্টোবর রাতেও কক্ষটিতে আটকে রেখে একইভাবে তাকে শাহাবুদ্দিন ধর্ষণ করে। এতে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন ৪ অক্টোবর একটি ইজিবাইকে করে তাকে বাড়িতে পাঠায়। বাড়িতে মেয়েটি অসংলগ্ন আচরণ করলে পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসবাদের মুখে ঘটনার বিবরণ দেয়। পরে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) গুজাদিয়া পুরাতন বাজারের দোকানে গিয়ে শাহাবুদ্দিনকে এলাকাবাসী আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। রাতে ওই নারীর বোন বাদী হয়ে শাহাবুদ্দিনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার এসআই মো. ফখরুল হাসান ফারুক জানান, ভিকটিম বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া মামলার একমাত্র আসামি শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বুধবার (৭ অক্টোবর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।