আগামী দুই মাসের মধ্যে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া বিইআরসির লাইসেন্সিগুলোর ভৌতিক বিল আদায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরআইসি আইন ২০০৩ এর ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যবস্থা না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
এর আগে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মিটার রিডিং ছাড়াই ভৌতিক বিল আদায় করেছে বলে প্রকৃত গ্রাহকদের কাছ থেকে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে জুনে বাংলাদেশ কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটর কমিশনকে (বিইআরসি) চিঠি দেয়া হয়।
পরে সংশ্লিষ্টদের একই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
এরপর ৫ অক্টোবর গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল সমন্বয়ের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে এ রিট করেন । আজ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করলেন।