অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার দুটি ধারার একটিতে ২০ বছর করে আর অন্যটিতে ৭ বছর করে মোট ২৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে ২০ বছর কারাভোগ করতে হবে দণ্ডিতদের।
এ মামলায় ১২ জনের মধ্যে সবাই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য ছিল।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
এর পর ২৩ আগস্ট পাপিয়া ও মফিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করে।
পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।