muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

বাগেরহাটে সাত কার্যদিবসেই রায়, ধর্ষকের যাবজ্জীবন

শিশু ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সপ্তম কার্যদিবসে রায় ঘোষণা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম চাঞ্চল্যকর এই মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল মান্নান সরদার মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয় প্রকল্প এলাকার মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে।

বাগেরহাটের স্পর্শকাতর একটি ফৌজদারি মামলায় এত কম সময়ে বিচারকাজ শেষ করার নজির বাংলাদেশে এই প্রথম।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় পিতৃহারা সাত বছর বয়সী এক শিশু তার মামার কাছে থেকে বড় হচ্ছিল।

গত ৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টা দিকে ওই আশ্রয় প্রকল্পের পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রতিবেশী আবদুল মান্নান সরদার শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ার প্রলোভন দিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নেয়। এরপর শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মান্নান।

পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওইদিন রাতেই মেয়েটির মামা মোংলা থানায় আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ মুখার্জি তার তদন্তে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ১৬ জনকে সাক্ষী রেখে আট দিনের মাথায় মান্নানের বিরুদ্ধে ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) গোপাল চন্দ্র পাল এই প্রতিবেদককে বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় জুডিসিয়াল আদালত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে পাঠায়।

আদালতের বিচারক গত ১১ অক্টোবর মামলাটি আমলে নিয়ে পরদিন চার্জ গঠন করেন। ১৩ অক্টোবর বাদী পক্ষের মোট ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

পরদিন মামলার সংশ্লিষ্ট সাক্ষী চিকিৎসক, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ১৫ অক্টোবর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য নেন।

রবিবার বাদী-বিবাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে সোমবার রায়ের দিন ধার্য করেন।

এই ধরনের ফৌজদারি মামলায় দেশের কোনো নিম্ন আদালতে এত কম সময়ে বিচারকাজ শেষ হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Tags: