muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়ক

parlament

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ

প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর প্রধানদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্রপতি। আগে ১৯৮৯ সালের ডিফেন্স সার্ভিস (সুপ্রীম কমান্ড) অডিন্যান্স অনুযায়ী এই দায়িত্ব পালন করলেও সংবিধান সংশোধনের ফলে ওই অধ্যাদেশ রহিত হওয়ায় নতুন আইন প্রণয়নের জন্য এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে পৃথক দুটি বিল উত্থাপন করেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা) বিল-২০১৬ ও প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) বিল-২০১৬ নামের বিল দুটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন-২০১১ দ্বারা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ কার্যকারিতা হারায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘দ্যা ডিফেন্স সার্ভিস (সুপ্রিম কমান্ড) অর্ডিন্যান্স -১৯৭৯’ অধ্যাদেশটি (১৯৭৯ সালের ১নং আইন) আদালত কর্তৃক বিলপ্ত হওয়া সময়ের মধ্যে জারিকৃত। অধ্যাদেশটির অধীনে বিধানসমূহের কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন করা প্রয়োজন। এ জন্য বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন এবং তিনি তার ওপর ন্যাস্ত প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের প্রধানগণের মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন।

বিলের দুই ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন এবং তিনি সংবিধানের ৬১ অনুচ্ছেদের অধীনে তার ওপর ন্যাস্ত প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের প্রধানগণের মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন। রাষ্ট্রপতির সাধারণ নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহের প্রধানগণ তাদের অধীনস্থ বাহিনীর ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।

প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহ কার্যকারিতা হারায়। কিন্তু অধ্যাদেশের মাধ্যমে জারি করা সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর কিছু বিধান জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুন্ন রাখা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নে এই বিলটি আনা হয়েছে।

Tags: