কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দেওতান এলাকায় লুৎফর রহমান নামে এক পীরের আস্তানায় মাইসা (১২) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নে ওই পীরের আস্তানায় একটি রান্না ঘরের ভেতর জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীর মরদেহ পাওয়া যায়।
মাইসা ওই পীরের খাদেম মানিক মিয়ার মেয়ে। মানিক মিয়ার বাড়ি তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের মৌগাঁও গ্রামে।
পুলিশ জানায়, রাউতির প্রয়াত পীর বারী শাহের দরগার সামনে দীর্ঘদিন ধরে আস্তানা তৈরি করে পীরের দায়িত্বে রয়েছেন তারই মুরিদ লুৎফর রহমান। তার আস্তানায় বিভিন্ন এলাকার মুরিদরা বসবাস করেন। দরগার খাদেম মানিক মিয়া স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে ওই পীরের দরগায় থাকতেন।
দরগা কর্তৃপক্ষ ও কিশোরীর বাবা-মায়ের দাবি, দরগার ভেতর একটি রান্না ঘরের খালি কক্ষে মাইসা ও তার ছোট বোন খেলা করছিল। মাইসা বউ সাজতে গিয়ে জানালার সঙ্গে একটি ওড়না বেঁধে এর এক পাশ গলায় জড়ায়। এ সময় সে পা পিছলে চৌকি থেকে পড়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে যায়।
এ ব্যাপারে পীর লুৎফর রহমান জানান, কিশোরীর মা-বাবা খবর পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, খেলা করার সময় ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে কিশোরীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও তিনি জানান।