muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

মেয়র-চেয়ারম্যান-কাউন্সিলররা বর্ধিত সম্মানী ভাতা পাবেন : এলজিআরডি মন্ত্রী

engr. mosharrof

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ

স্থানীয় সরকারের জন প্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য পারিতোষিক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও মেম্বররা বর্ধিত সম্মানী ভাতা পাবেন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য পারিতোষিক বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার রাজধানী ঢাকার দখল হয়ে যাওয়া খালগুলি পুনরুদ্ধারে বন্ধপরিকর। প্রথম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধানে থাকা নগরীর ২৬টি খালের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখল উচ্ছেদ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে এই খালগুলোতে পানির প্রবাহ সচল আছে। বর্তমানে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হওয়া খালগুলো অবৈধ দখলের আর কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ১৩টি যেমন- মহাখালী, বাউনিয়া, আবদুল্লাহপুর মেইন খাল, আবদুল্লাহ শাখা খাল, জিরানী খাল, শাহবাদপুর খাল, সতিভোলা খাল, সেগুনবাগিচা খল, শাহজাহানপুর খাল, খিলগাঁও-বাসাবো খাল, খিলগাঁও-বাসাবো আপস্ট্রিম খাল, কল্যাণপুর মেইন খাল ও দ্বিগুণ খালের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর কল্যাণপুর খালসহ অন্যান্য খালের অবৈধ স্থাপনা ও দখল থেকে খাল উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে। কল্যাণপুর ও রামচন্দ্রপুর খালের পাড় বাঁধাই করা হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নোত্তরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, রাজধানী ঢাকা ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে এ অভিযোগ সত্য নয়। ঢাকা মহানগরীতে সকল বিলবোর্ড অপসারণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মহানগরী এলাকার প্রায় ৯৫ ভাগ বিলবোর্ড অপসারিত হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট সকল বিলবোর্ড অপসারিত হবে।

এ ছাড়াও প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপিদের বরাদ্ধ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম বলেন, মাননীয় মন্ত্রী, দেখাইলেন মুরগি, দিলেন ডিম। এ দিয়ে কি করবো? স্থানীয় সরকার, পলী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ সবাই জানে এমপিদের নামে ২০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে রাস্তা-ঘাট সংস্কারে। কিন্তু দিলেন মাত্র ৩ থেকে ৫ কোটি। এ দিয়ে কি করমু।

জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে চলে। আপনি (হাজী সেলিম) যদি সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন চান, রাজস্ব বাড়াতে চান, তাহলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে বসুন, ট্যাক্স বাড়াতে চাইলে বাড়ান। এজন্য সরকারের যে যে সহযোগিতা করা প্রয়োজন করবে। আর যদি মনে করেন সিটি কর্পোরেশনের সব দায়িত্ব সরকারের তাহলে তো সিটি করপোরেশনের অস্তিত্বই থাকে না।

Tags: