muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

বলাৎকারকে ধর্ষণ গণ্য করে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে আইনি নোটিশ

বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডাকযোগে ও ইমেইলে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, শিক্ষাসচিব,  ধর্ম সচিব, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী মোহাম্মদ হ‌ুমায়ূন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাওছার।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের মতো বলাৎকারের সাজা মৃত্যুদণ্ড করতে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুই আইনজীবী।

এতে বলা হয়, প্রায় লক্ষাধিক আলিয়া এবং কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় এক কোটির মতো ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে পুরুষ শিক্ষকের অধীনে। কিন্তু কিছু মাদ্রাসায় কোমলমতি ছাত্ররা কিছু শিক্ষকের মাধ্যমে ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের  শিকার হচ্ছে। এর ফলে অনেক ছাত্র মৃত্যুর মুখেও পড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পুরুষের সঙ্গে পুরুষের জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমকে ধর্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। ফলে এ ধরনের যৌনসঙ্গমের শাস্তি অনেক কম থাকায় এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ধারায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনয়ন করে পুরুষ কর্তৃক ছাত্রদের বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে এ ধরনের অপরাধে ধর্ষণের মতোই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা শিক্ষক নিয়োগসহ মাদ্রাসা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।

নোটিশদাতা ব্যারিস্টার হ‌ুমায়ূন কবির পল্লব বলেন, মাদ্রাসাগুলিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এতিম এবং সমাজের বঞ্চিত শিশু-কিশোররা পড়াশোনা করে। এ কারণে তাদের নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটলেও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ বা সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত তেমন কাউকে দেখা যায় না। ফলে অপরাধীরা এ ধরনের জঘন্য এবং ঘৃণ্য অপরাধ করেও অতি সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

Tags: