মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
বেতন বৈষম্য নিরসনে আন্দোলনরত সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কর্মবিরতিসহ সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও শিক্ষা সচিবের দাবি বিবেচনার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে সমিতির মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহরবা প্লাজায় সমিতির অফিসে এ সভা হয়।
বুধবার দুপুরে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সমিতির নেতারা বিকেলে এক জরুরি এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন।
কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়ে আই কে সেলিম উল্লাহ বলেন, শিক্ষাসচিবের সঙ্গে অষ্টম বেতন স্কেলে বৈষম্যের বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বিকল্প হিসেবে একটি পদ সোপান পদ্ধতি তৈরি করে শিক্ষা সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। তিনি (সচিব) বলেছেন, প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক মনে হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিবেন। আর যদি কোনো কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। দাবি পূরণে তিনি তার সাধ্যমতো সহযোগিতা করবেন বলেও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
সেলিম উল্লাহ আরো বলেন, সবশেষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য আমাদের অনুরোধ করেছেন তিনি। কালকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অষ্টম বেতন কাঠামোতে বৈষম্যের প্রতিবাদ ও দাবিতে তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষা বর্জনসহ তিন দিনের পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
এর আগে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন সমিতির সভাপতি প্রফেসর নাসরিন বেগম।