নৌ কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। এ সময় রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন জনায় ইরফানের আইনজীবী।
অপরদিকে এ মামলায় আসামিদের দেয়া তথ্য যাচাই করতে ফের তাদের রিমান্ডে নেয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তাদের প্রত্যেককে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টায় ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান। এ মামলার আসামিরা হলেন, ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরো কয়েক জন। এ মামলায় দীপু তিন দিন ও মিজানুর একদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
এর আগে, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌ বাহিনীর একজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওয়াসিফ। মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এ সময় গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুই-তিন জন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে নেমে আসেন এবং মারধর শুরু করে। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে ‘উঠিয়ে নেয়া ও হত্যা’র হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।