মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাদের ত্যাগের তুলনায় প্রকাশ কম মন্তব্য করে দলের নেতাদের প্রতি বই লেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে লেখা একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, “যারা আমাদের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, অনেকেই আছেন। তারা জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। প্রত্যেকেই যদি তারা জীবনের কথাগুলো লিখে রাখে তাহলে বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের অনেক কিছু আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে।”
বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ‘ভাটিশার্দূল মো. আবদুল হামিদ প্রামাণ্য গ্রন্থ’র মোড়ক উন্মোচন হয়।
রাষ্ট্রপতি হামিদের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়, সহপাঠী, রাজনৈতিক সহকর্মী, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ৭৭ জনের লেখা বইটিতে স্থান পেয়েছে।ফারুক আহাম্মদের সম্পাদনায় রাজধানী বার্তা পাবলিকেসন্স বইটি প্রকাশ করেছে।
লেখকদের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য দূর্গাদাস ভট্টাচার্য, রাষ্ট্রপতির সহপাঠী সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, আশীষ সৈকত, রাষ্ট্রপতির ভাই আবদুল হক ও ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক রয়েছেন।
নেতাদের প্রতি বই লেখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের আওয়ামী লীগের যারা রাজনীতি করে যাচ্ছেন তাদের দীর্ঘদিনের রাজনীতির ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে অবদান রয়েছে। এ সংগ্রাম একদিনের নয়। কিন্তু কমই লেখা হয়েছে।
“তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাদের পরিবার অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কিন্তু সে তুলনায় লেখলেখি বা প্রকাশ কম। অথচ এই ত্যাগের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দল… নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়েছেন। অনেক চড়াই- উৎরাই পার করেছেন। ঘাত- প্রতিঘাত সহ্য করেছেন। সেগুলো কমই লিপিবদ্ধ হয়েছে।”
রাষ্ট্রপতির ওপর লেখা বই প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভাটি এলাকা অনেক দুর্গম। ওই জায়গা থেকে একটা আদর্শ নিয়ে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাজনীতি করেছেন। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করেছেন, ধাপে ধাপে উঠে এসেছেন।”অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করেছি। ওই স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়েই যাতে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাতে পারি, শেষ বিদায় নিতে পারি- এটাই আমার কামনা।”
তাকে নিয়ে যারা লিখেছেন তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “বইটি যারা লিখেছেন তারা আমার ঘনিষ্ঠজন। এটা আমার প্রতি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।”
অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বইয়ের সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ, বই প্রকাশের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শেখ কবির আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মসিউর রহমানসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৭-০১-২০১৬ইং/নিঝুম