muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

রংপুরে ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডে

রংপুরের হারাগাছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে দলবেধে ধর্ষণের মামলায় পুলিশের এএসআই রাহেনুলের পাঁচদিন ও অপর দুই আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার কড়া নিরাপত্তায় রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীর আদালতে আসামিদের হাজির করে পিবিআই।

দুপুরের দিকে শুনানি শেষে আদালত রাহেনুলের পাঁচদিন ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার মেঘলা ও সুরভীর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা রাহেনুলের সাতদিন ও দুই আসামির তিনদিন করে রিমান্ড আবেদন করি। আদালত রায়হানুলের পাঁচদিন ও অন্যদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পিবিআই ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার ময়নাকুঠি কচুটারিতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। প্রেমের সূত্র ধরে ২৫ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে ভাড়াটিয়া মেঘলা ওরফে আলেয়া ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় আরও দুজন তাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় মেঘলা বেগমকে ও পরে আরেক সহযোগী সুরভিকেও আটক করা হয়।

অসুস্থ ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করায় পুলিশ।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপরই গ্রেপ্তার হন পাঁচজন। এরই মধ্যে দুই আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিবিআই কর্মকর্তা এবিএম জাকির হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি নিখুঁতভাবে তদন্ত করছি। ভুক্তভোগি যেন সঠিক বিচার পায়, সেজন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে।

Tags: