এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। বুধবার (৪ নভেম্বর) তিনি র্যাবের গোয়েন্দা শাখার নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর ফলে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেমের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবরিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান। তার পিতার নাম মো. গিয়াস উদ্দিন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সুযোগ্য কর্মকর্তা। তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের একজন গ্র্যাজুয়েট। তার গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তিনি সুদানে জাতিসংঘ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেষণে র্যাবে যোগদান করেন এবং একই বছরের গত ১৪ নভেম্বর র্যাব-১২ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে র্যাব-১২ জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, অবৈধ অস্ত্রধারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের দমনে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এছাড়াও সমাজের নানা অপরাধ দমন সংক্রান্ত অভিযানে খায়রুল ইসলাম সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পরিসরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন চৌকস অফিসার। তিনি উগান্ডা, যুক্তরাজ্য, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সরকারি কাজে গমন করেন।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সেটি নিয়ন্ত্রণেও নিজের অধীনস্থ ফোর্সকে করোনামুক্ত রাখতে খায়রুল ইসলামের ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। লকডাউন, হোমকোয়ারেন্টিন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণেও তার ছিল অনন্য ভূমিকা।
তার উদ্যোগে ব্যাটালিয়নে কর্মরত সব র্যাব সদস্যকে সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জনসাধারণের মধ্যেও এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তার নির্দেশক্রমে জনসমাগম স্থানে বেশ কয়েকটি জীবাণুমুক্তকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এছাড়াও দুর্গত মানুষের সহায়তায় তিনি খাদ্যসামগ্রীসহ ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করেছেন।