muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

তথ্য প্রযুক্তি

মানব মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা কি ইন্টারনেটের মতো?

human-brain

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্কঃ মানব মস্তিষ্ক কী ইন্টারনেটের মত এত তথ্য ধারণ করতে পারবে? মানুষের মস্তিষ্ককেও কী ইন্টারনেটের মত তথ্য ভান্ডার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে?

 

মানুষের মনে ঘুরপাক খাওয়া এই প্রশ্নের উত্তর সম্ভবত এবার মিলবে।

 

নতুন এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এরকমই ইঙ্গিত মিলেছে। এক গবেষণায় জানা গেছে মানব মস্তিষ্ক আরো ১০ গুণ বেশি তথ্য ধরে রাখতে সক্ষম হতে পারে যেমনটি পূর্বে ধারণ করা হতো এবং মানব মস্তিষ্কে সমগ্র ইন্টারনেট সমতূল্য তথ্য ধরে রাখা যাবে।

 

এই গবেষণার ফলে আরো জানা গেছে কেন মানব মস্তিষ্ক এত তথ্য ধারণে সক্ষম। বর্তমানে আমাদের মস্তিষ্ক একটানা মাত্র প্রায় ২০ ওয়াট ক্ষমতা ব্যবহার করে, যা একটি অস্পষ্ট আলোর বাল্ব জ্বালাতে যে শক্তি খরচ হয় তার সমান।

 

নতুন এই গবেষণার ফলাফল বিজ্ঞানীদের দ্রুত ও কার্যকরী একটি কম্পিউটার তৈরি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও মানব মস্তিষ্কের কাজ সম্পর্কে আরো বেশি জানার একটি ক্ষেত্র তৈরি করবে।

 

এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের কম্পিউটিং শক্তি বিষয়ে অধ্যয়ন করার জন্য নতুন এক কৌশল ব্যবহার করেছেন এবং দেখেছেন যে আমরা পূর্বে মানব মস্তিষ্কের ক্ষমতা সম্পর্কে যা চিন্তা করতাম এটি আসলে তার তুলনায় অনেক বেশি কাজ করতে সক্ষম।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সাল্ক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক টেরি ছেজনোজকি বলেন, ‘আমরা হিপ্পোক্যামেল নিউরনের নকশা নীতি উদঘাটন করতে পেরেছি যে কীভাবে নিউরোন নিম্ন শক্তি নিয়েও উচ্চ কম্পিউটিং ক্ষমতার সঙ্গে কাজ করে।’

 

‘আমাদের এই নতুন গবেষণার ফলাফল মস্তিষ্ক এর মেমোরি ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের নতুন একটি ধারণা দিয়েছে যে মস্তিষ্কও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ন্যয় সমপরিমাণ তথ্য ধারণে সক্ষম।

 

‘যে বৈদ্যুতিক এবং রাসায়নিক কার্যকলাপ মস্তিষ্কের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় তা সেইনাপসেস আকারে থাকে। এটিকে পুণনির্মান করতে হবে যেন বিজ্ঞানীরা আরো বেশি গবেষণা করতে পারে যে কীভাবে মস্তিষ্কের এক অংশ অপর অংশে সঙ্গে সংযোগ হয় এবং সেইনাপসেস এর সাইজ কত।’

 

ছেজনোজকি বলেন, ‘আমরা এই গবেষণায় যা পেয়েছি তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। সেইনাপসেস এর আকার এবং অন্তনির্হিত ক্ষমতা আমাদের কাছে এতদিন অজানা ছিল।

 

 

Tags: