ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে মানিলন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখানো আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারী এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় সম্রাটকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার পর আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদন বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে সকাল ১১টায় শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জামান আনসারের আদালতে সকাল ১১টার পর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের উপপরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা (মামলা নম্বর ১৪) দায়ের করেন। সম্রাট তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জিসানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেসার্স হিস মুভিজ নামে কাকরাইলের একটি অফিসে অবস্থান করে অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন সম্রাট। সহযোগী আরমানের মাধ্যমে এসব অর্থ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন তিনি। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে উপার্জিত এসব অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সম্রাট সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৩ বার ভ্রমণ করেছেন। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সহযোগী আরমানসহ ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। মানি লন্ডারিং আইনের নতুন এই মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হলো।