কর্নেল (অব.) শহিদ উদ্দিন চৌধুরীসহ চারজনকে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- কর্ণেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খান, সৈয়দ আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম পাটওয়ারী।
আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম কারাগারে রয়েছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খান পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। জহুরুল হক খন্দকার মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পুলিশ জানতে পারে, শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীর মালিকানাধীন ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন বারিধারা ডিওএইচএস এর ২ নং রোডের ১৮৪ নং বাসা থেকে দীর্ঘদিন একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। গত বছর ১৭ জানুয়ারি ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ আরকেটি পিস্তল, একটি শর্টগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ এবং শর্টগানের দুইটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ফেইক কারেন্সি নোট টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) বিপ্লব কিশোর শীল ওইদিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বিভাগের উপ-পুলিশ পরিদর্শক জহুরুল হক পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১৩ আগষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভূক্ত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।