দীর্ঘ দশ মাস পর মাঠে ফিরে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। নেপালের বিপক্ষে দু’টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় পায় জামাল ভুঁইয়ার দল। বাংলাদেশের পক্ষে গোল দুটি করেছেন নাবিব নেওয়াজ জীবন ও মাহবুবুর রহমান।
নেপালের বিপক্ষে এতদিন ধরে জয় অধরাই হয়ে যাচ্ছিল। সর্বশেষ দুটি ম্যাচেও নেপালের বিপক্ষে হারতে হয়েছে বাংলাদেশের। শুক্রবারের জয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দীর্ঘ ৫ বছর পর নেপালের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায়। সেটাও ছিল ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ।
করোনাকালীন বিরতিতে মোটেও ধার কমে যায়নি বাংলাদেশ ফুটবল দলের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই নেপালকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তার ফলও পেয়েছে। ম্যাচের ১০ মিনিটেই স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন। ডান দিক থেকে সাদউদ্দিনের ক্রসে চলন্ত বলে ডান পায়ে গোল করেছেন আবাহনীর স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আরো কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল লাল সবুজরা। মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও জীবন দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। নেপাল দলও দুইবার আক্রমণে এসেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেননি নাওয়াং শেরেস্তা-বিক্রম লামারা।
বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল নেপাল। ৫৫ মিনিটে ক্রস থেকে বিক্রম লামার প্লেসিং এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ক্রস বারের বাইরে দিয়ে যায়। বদলি নেমে সফল হন মাহবুবুর রহমান সুফিল। ৭৯ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে সোহেল রানার থ্রু থেকে বা প্রান্ত দিয়ে বল পেয়ে জালে বল পাঠান তিনি। অসাধারণ এই গোলের পর আনন্দে উদ্বেল হয়ে পড়েন সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকু, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান, জামাল ভূইয়া, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাদউদ্দিন, নাবীব নেওয়াজ জীবন, মানিক মোল্লা ও সুমন রেজা।
নেপাল একাদশ
কিরন কুমার লিম্বু (অধিনায়ক), অজিত ভান্ডারি, অনন্ত তামাঙ, বিক্রম লামা, তেজ তামাঙ, অঞ্জন বিশট, সুজল শ্রেষ্ঠ, সুমন আরিয়াল, নয়াযুগ শ্রেষ্ঠ, রবিশংকর পাসওয়ান ও বিকাশ খাওয়াস।