মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিরোধী দলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠকে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও বিরোধী দলীয় হুইপ ফখরুল ইমাম। বৈঠককালে সংসদ ভবনে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ এবং মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ কয়েকজন এমপি। অধিবেশন কক্ষে বিরোধী দলের আসনগুলো ছিল শূন্য।
বৈঠক শেষে রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, ময়মনসিংহের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তিনি উন্নয়নমুলক সব কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রিসভা ও দলের সংকট নিয়ে কোনও আলাচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
বৈঠক প্রসঙ্গে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বৈঠকের জন্য আগেই সময় নেওয়া হয়েছিল। সে কারণে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠকটি হয়েছে। তবে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা এখনও জানি না। বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এবিষয়ে দলের মহাসিচব রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, আমরা জেনেছি দুই জনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কি আলোচনা হয়েছে তা জানি না। তবে দলের চেয়ারম্যানও দুই-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে তিনি জানান।
তবে দলের শীর্ষ এক নেতা জানান, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিলো মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে। ওই বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা সম্প্রতি দলের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মনোভাব ও তার ভূমিকার ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে রওশন এরশাদ বলেন, মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে এসে তারা সত্যিকার বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চান। সরকারের ভালো কাজের সমর্থন ও খারাপ কাজের সমালোচনার কথা তুলে ধরেন। এসব ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন তা ওই নেতা জানেন না বলে জানান।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি আগেই জানিয়েছিলেন দলের সদ্য নিয়োগ পাওয়া কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। গত ২ জানুয়ারি তিনি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেন, বিশেষ দূতের পদ ও মন্ত্রিসভা ছাড়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ও সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। ওইদিন তিনি জানান, মন্ত্রিসভা ছাড়ার বিষয়ে এরশাদ এবং রওশন একমত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।