এনজিও ও বিদেশি শক্তির চাপে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী কলেজে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এনজিও ও বিদেশি শক্তিদের চাপে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।’ অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জিএসপি নিয়ে তারা ভাবছেন না। তবে পণ্য রপ্তানিতে আমেরিকার নতুন সরকারের কাছে ট্যারিফ কমানোর দাবি থাকবে।’
পরে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন একে আবুল মোমেন। তখন তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দুটি বিষয় উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। এর একটি হলো মানবসম্পদ, অন্যটি নদী-নালা। বাংলাদেশের মানবসম্পদকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে প্রবাসীরা বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। এটি আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব। তা ছাড়া দেশে প্রায় এক হাজার ৩০০ নদী-নালা রয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান। সভায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে মন্ত্রী নগরীর কাদিরগঞ্জে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি রাজশাহী কলেজ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জাদুঘরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি গ্রন্থাগারের জন্য তার লেখা ও সম্পাদিত কয়েকটি বই উপহার দেন। সেখানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম. আবদুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান, জাদুঘরের পরিচালক এআরএম আবদুল মজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।