ভারতের কলকাতায় কালীপূজার একটি অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে সমালোচনার হওয়ায় ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আজ সোমবার রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিও বার্তা দিয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নিজেকে গর্বিত মুসলমান আখ্যা দিয়ে সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই খুবই সেনসেটিভ। আমি প্রথমেই বলতে চাই, আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান হিসেবে মনে করি এবং আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুল ত্রুটি হবেই এবং ভুল ত্রুটি নিয়েই আসলে আমরা চলাফেরা করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনাদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্যও আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
ভিডিও বার্তায় সাকিব জানালেন, তিনি পূজার উদ্বোধন করেননি। ওখানে যাওয়ার আগেই সেটি উদ্বোধন করা হয়। সাকিব বলেন, ‘এখন আসি পূজার বিষয়টি নিয়ে, পূজার বিষয়টি এখানে আসলে নিউজ, মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সব জায়গায় এসেছে আমি পূজার উদ্বোধন করতে গিয়েছি। যেটা আসলে আমি কখনো আমি যাইওনি কিংবা করিওনি। এটির প্রমাণ আপনারা অবশ্যই পাবেন। যেটি হচ্ছে অনেক সাংবাদিক ভাইবোনেরাই সেখানে ছিলেন, যাদেরকে হয়তো ইনভাইট করেছেন কিংবা আপনারা যদি সেখানের ইনভাইটেশন কার্ডটা দেখেন, কার্ডে লেখা আছে, কে আসলে ওইটার উদ্বোধন করেছেন।’
সাকিব আরও বলেন, ‘দুই মিনিট আমি পূজা মণ্ডপে ছিলাম, সেটা নিয়ে সবাই বলেছে। অনেকের ধারণা, আমি পূজা উদ্বোধন করতে গিয়েছি। যেটা আমি কখনোই করিনি এবং একজন সচেতন মুসলমান হিসেবে এটা আমি কখনোই করব না। তারপরও ওখানে যাওয়াটাই হয়তো আমার ঠিক হয়নি।’
গত ১৩ নভেম্বর কলকাতার বেলেঘাটায় কালীপূজার অনুষ্ঠানে যান সাকিব। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পালের আমন্ত্রণে এই পূজা উদ্বোধনে যান। সাকিব বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান। বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাডা ভারতের সাবেক পেসার শিবশঙ্কর পাল ছিলেন সাকিবদের সঙ্গে।
অনুষ্ঠান শেষে সাকিব বলেছিলেন, ‘এখানে (কলকাতায়) এসে খুবই ভালো লাগছে। কলকাতাকে নিজের শহর মনে করি। এর আগে বহুবার খেলতে এসেছি। এরকম অনুষ্ঠানে এবারই প্রথম। পরেশ দা না ডাকলে আসাই হতো না।’