অ্যারন ফিঞ্চ, স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়া অস্ট্রেলিয়াকে টপকাতে পারেনি বিরাট কোহলির ভারত। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শুক্রবার ৬৬ রানে হেরেছে দলটি।
সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৭৪ রান সংগ্রহ করে। ভারতের বিপক্ষে যা তাদের সর্বোচ্চ। ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৩৫৯ ছিল আগের সর্বোচ্চ ইনিংস।
১৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ফিঞ্চ করেন ১১৪। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন ৫ হাজার ওয়ানডে রানও। ১১ চার ও তিন ছক্কায় স্মিথের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ১০৫।
রান তাড়ায় ভারত ঝড়ের গতিতে শুরু করলেও বড় জুটি পায়নি টপ অর্ডারে। শেষ পর্যন্ত তারা করতে পারে ৩০৮ রান।
চোটের কারণে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নামা হার্দিক পান্ডিয়ার ৭৬ বলে ৯০ রানের ইনিংস ভারতের প্রাপ্তি। ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার অ্যাডাম জাম্পা।
অস্ট্রেলিয়াকে দারুণ শুরু এনে দেন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে রান আসে ৫১। ৬৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন ফিঞ্চ, ৫৪ বলে ওয়ার্নার।
উদ্বোধনী জুটিতে দুজনের একাদশ শতরানের জুটি থামে ১৫৬ রানে গিয়ে। মোহাম্মদ শামির বলে ওয়ার্নার উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৭৬ বলে ৬৯ করে।
দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চ ও স্মিথের জুটিতেও আসে শতরান। মাত্র ৭৩ বলেই ১০৮ রানের জুটি।
১১৭ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করে ফিঞ্চ। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১৬ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান।
শতরানের পর রান বাড়ানোর চেষ্টায় ফিঞ্চ বিদায় নেন ১২৪ বলে ১১৪ রানে।
জীবন পাওয়া স্মিথ ৬২ বলেই পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। অস্ট্রেলিয়ার যা তৃতীয় দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
৫ চার ও ৩ ছক্কায় ম্যাক্সওয়েল করেন ১৯ বলে ৪৫। শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ১১০ রান।
ভারতীয় বোলারদের দুর্দশার দিনে খানিকটা ভালো করেন কেবল মোহাম্মদ শামি (৩/৫৯)। ১০ ওভারে ৮৯ রান দেন চাহাল, ওয়ানডেতে কোনো ভারতীয় স্পিনারের যা সবচেয়ে খরুচে বোলিং।
ভারতের রান তাড়ার শুরুটা ছিল চোখধাঁধানো। ওয়াইড বল-নো বলে চার মিলিয়ে মিচেল স্টার্কের প্রথম ওভার থেকে আসে ২০ রান। জশ হেইজেলউডের করা পরের ওভার থেকে ১২। দলের পঞ্চাশ হয়ে যায় কেবল ৪.১ ওভারেই।
সেখান থেকে ভারতের রাশ টেনে ধরেন হেইজেলউড। আগারওয়ালকে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন তিনি ব্রেক থ্রু। এই পেসার পরে এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারকে।
কোহলি করতে পারেন ২১ বলে ২১ রান। জাম্পা বোলিংয়ে এসে ফুল টসে ফেরান লোকেশ রাহুলকে। ভারতের রান তখন ৪ উইকেটে ১০১।
প্রথম স্পেলে খরুচে জাম্পা দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিশ্চিত করে দেন অস্ট্রেলিয়ার জয়। ৮৬ বলে ৭৪ রান করা ধাওয়ানকে ফিরিয়ে তিনি ভাঙেন জুটি। পরে এই লেগ স্পিনার ফিরিয়ে দেন পান্ডিয়াকেও।
৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৯০ রান পান্ডিয়ার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
এরপর নবদিপ সাইনি (২৯*), রবীন্দ্র জাদেজাদের (২৫) সৌজন্যে তিনশ ছাড়াতে পারে ভারত।