চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তির পর ফের কারাগারে নেয়া হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে। মা গুলশান আরা সেলিমের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে ৩০ নভেম্বর, সোমবার তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়।
২৯ নভেম্বর, রোববার রাত পৌনে ১২টায় ঢাকার ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে ইরফান সেলিমের মা গুলশান আরা সেলিম মারা যান। ৩০ নভেম্বর, সোমবার সকালে ইরফান সেলিমের প্যারোলে মুক্তির জন্য স্বজনরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর বিকেল পৌনে তিনটায় ইরফান সেলিমকে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল পৌনে ৩টায় ইরফান সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টায় ফের তাকে কারাগারে ফেরত নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে এমপি হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ওইদিন পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে। পরে তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।