muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

গতবারের তুলনায় ছাত্রদের চেয়ে ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে

nahid

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকমঃ

গত বছরের তুলনায় এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র বেশি থাকলেও শুধু এসএসসিতে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর গতবারের তুলনায় ছাত্রদের চেয়ে ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, যা শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার।

আজ শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, এবার মোট ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আট লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং আট লাখ আট হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী। আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৩ লাখ চার হাজার ২৭৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে ৯৮ হাজার ৩৮৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।

এর মধ্যে শুধু এসএসসিতে ছয় লাখ ৪২ হাজার ৫০৭ জন ছাত্রের বিপরীতে ছাত্রী ছয় লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জন। অর্থাৎ ছাত্রী ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর হিসাবেও গতবারের তুলনায় এবার ছাত্রী বেড়েছে। গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন অংশ নিয়েছিল। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র বেড়েছে ৭৯ হাজার ৫৯৪ জন আর ছাত্রী বেড়েছে ৯২ হাজার ৬৬৩ জন। এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন ৪০৪ জন শিক্ষার্থী, এর মধ্যে ২০১ জন ছাত্র এবং ২০৩ জন ছাত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে, দুই পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ৯ থেকে ১৪ মার্চ। এবার ২৮ হাজার ১১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন। নাহিদ জানান, এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। গত বছর চালু হওয়া শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা বিষয়েও এবার সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক নিতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।

এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষা কক্ষে তার অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। এবারও পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে ভুয়া প্রশ্ন ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গেই বিটিআরসি ব্যবস্থা নেবে। কিছু শিক্ষক নামধারী ব্যক্তি ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার লোভে ছাত্রদের প্রশ্ন বলে দেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকাও আর করা হয় না।

বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগই নেই দাবি করে নাহিদ বলেন, কারও পক্ষেই জানা সম্ভব না কোন প্রশ্ন ছাপা হচ্ছে। কারণ কারও হাতে প্রশ্ন এক মিনিটের বেশি থাকে না। পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়াতে বেশি নম্বর দেওয়ার নির্দেশনার অভিযোগ উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। আমি সব পরীক্ষক এবং পরীক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি, আমাদের এমন কোনো ইন্সট্রাকশন নেই যে, কাউকে বেশি নম্বর দেবেন, আবার কাউকে কম নম্বরও দেবেন না। যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেবেন, সঠিকভাবে খাতা দেখবেন, সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবেন। এতে সংখ্যা বাড়ল না কমল এ নিয়ে আমাদের কোনো চাপ নেই।

Tags: