প্রবাসী যুবক জিহান বিয়ে করার দেড় মাস না যেতেই পাড়ি জমান ওমানে। স্ত্রী চলে যান বাবার বাড়িতে। তবে দীর্ঘ দেড় বছর পরে দেশে ফিরতে চাইলে আপত্তি জানায় স্ত্রী, ফোন রিসিভও বন্ধ করে দেন। পরে প্রেমিক সেজে স্বামী তার সঙ্গে শুরু করেন প্রেম। এরপর দেশে ফিরে স্ত্রীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন জিহান। একপর্যায়ে র্যাবের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব-কুলিয়ারচর মিলন সেতু এলাকা থেকে স্ত্রীকে ধরে ফেলেন ‘প্রেমিক রাজা’ নামের স্বামী জিহান।
গত মঙ্গলবার দুজনের ধস্তাধস্তির সময় লোকজন জড়োও হয়। অনেকে ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
কুমিল্লা জেলার হোমনার মণিপুর গ্রামের জিহান মিয়া ওই উপজেলার আয়েশা বেগমকে বিয়ে করেন ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। দেড় মাস পরে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে জিহান ওমানে চলে যান। আয়েশা বাবার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে ৮০ হাজার, পরে আরও দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। এরপর থেকে জিহানের সাথে অমিল দেখা দেয়ায় দেড় বছর পরে দেশে ফিরতে চাইলে আপত্তি জানান তিনি। ফোন রিসিভ করাও বন্ধ করে দেন।
জিহান বলেন, ‘তার বাবা-মায়ের আশকারা পেয়ে পরকীয়া শুরু করে আয়েশা। পরে নিজের পরিচয় গোপন করে প্রেমিক ‘রাজা’ নামে আয়েশার সাথে প্রেম শুরু করি। ইমুতে সে আপত্তিকর ছবিও পাঠায়। তার বাবা পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বাস করে। কিন্তু সে নানার বাড়ি কুলিয়ারচরে আছে বলে জানায়।’
এরইমধ্যে ‘রাজা’কে জানায়, তার আগে বিয়ে হয়েছিল, তাকে ডিভোর্স দেবে এবং রাজাকে বিয়ে করবে। পরে গেল ২৮ নভেম্বর গোপনে দেশে ফিরে আসে জিহান। একদিন পর কুমিল্লার আদালতে স্ত্রীসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে জিহান। এরপর র্যাবের পরামর্শ নিয়ে কুলিয়ারচর সেতুর প্রান্ত ভৈরবের মানিকদী এলাকা থেকে স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাকে নিয়ে ভৈরব র্যাব ক্যাম্পে গেলে পরিবারের লোকজন মীমাংসা করে দেয়। আর এমন হবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দেয় আয়েশা।
জিহান বলেন, আসলে ভিডিও ছড়িয়ে পড়বে ভাবিনি। দেরিতে হলেও আমার স্ত্রী ভুল বুঝতে পেরেছে। পেছনের সব ভুলে সংসার করতে চাই। সবার প্রতি অনুরোধ, ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেবেন।