কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দরা প্রতিবাদ সভা করেছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় জেলা ও দায়রা জজ মো. সায়েদুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২ এর বিচারক কিরন শংকর হালদার, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নজরুল ইসলাম, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. মো. এহসানুল হক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ শরীফ সাদী, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান, স্বাচিপ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. মাহবুব ইকবাল, বিএমএ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব বাদল, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বাহাদুর আলী, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল এহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চিরায়ত বাঙ্গালী জাতির অবিনাশী চেতনার মূর্ত প্রতীক। বিভিন্ন জাতি রাষ্ট্রের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিকাশের পরিচায়ক হিসেবে আধুনিক রাষ্ট্রসমূহে এমনকি অনেক মুসলিম দেশে মহান নেতাদের ভাস্কর্য রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ছিলেন আমাদের চেতনার নাম। অকৃত্রিম দেশপ্রেম আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশকে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী একজন মহাপুরুষ তিনি। দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাভোগ করেছেন। তার এই ত্যাগের প্রতিদান আমরা কখনও দিতে পারবো না।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননাকারীদের হুশিয়ারি করে বক্তরা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কার্য অবমাননা করে সমগ্র দেশের মানুষের অনুভূতির জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।