সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি ইকবাল হোসেনকে (৩৫) সিলেট শহর থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার ৯ দিন পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশ সিলেট শহরের লালদিঘিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ইকবাল হোসেন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উস্তেংগের গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া ও স্ত্রী হত্যা মামলাসহ দুটি মামলার আসামি হিসেবে ইকবাল হোসেনকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটট বেলাল আহমদের আদালতে তোলা হয়। আদালত ইকবাল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আশেক সুজা মামুন বলেন, ‘ইকবাল হোসেনকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তারের পর দুটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার সকালে জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আনা স্ত্রীকে খুনের মামলার আসামি ইকবাল হোসেন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান। ইকবাল হোসেন ২০১৩ সালে একই উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরনপাড়া গ্রামের মনা মিয়ার মেয়ে মনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের ৪ বছর পর ২০১৭ সালের জুন মাসে ইকবাল হোসেন তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে খুন করে লাশ জঙ্গলে লুকিয়ে রাখে। মনোয়ারা বেগমের লাশ পচে দুর্গন্ধ বের হলে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৩ জুন মনোয়ারা বেগমের মা আমিনা বেগম বাদী হয়ে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি এখনো বিচারাধীন আছে।