দীর্ঘ কারাভোগের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
শুক্রবার সকালে তার ছেলে মনোরম পলক গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাবা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। পৌনে ১২টার দিকে আমরা বাড়ি পৌঁছেছি। শারীরিকভাবে বাবা বেশ দুর্বল। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলের জামিনের আদেশ দেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৪ নভেম্বর কাজলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৯ অক্টোবর সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো দুটি মামলা হয় কাজলের বিরুদ্ধে।
১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে কাজলকে আটক করে বিজিবি। অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। পরের দিন সেই মামলায় কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার কাজলের পক্ষে তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান নিম্ন আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। এরপর শুক্রবার তিনি কারামুক্ত হলেন।