সারা দেশজুড়ে যত ক্রিকেটীয় কার্যক্রম চলছিল, সবগুলোই বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। মূলত করোনাভাইরাসের নতুন ধরন মোকাবিলায় সরকারি সিদ্ধান্তের কারণেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সবধরনের ক্রিকেট।
শুধু ক্রিকেট নয়, জিম্বাবুয়ের সবধরনের খেলাধুলাই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছে দেশটির ক্রীড়া ও চিত্ত বিনোদন কমিশন।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এখনের সময়টা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্তের কবলে পড়া সকল সূচির নতুন সময় ঘোষণা করবে। বিশেষ করে সোমবার (৪ জানুয়ারি) শুরু হতে যাওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটিও নতুন সূচিতে আয়োজন করা হবে।’
গত বছরের নভেম্বরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফর করেছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু করোনাভাইরাস আগমনের পর থেকে নিজেদের ঘরের মাঠে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি তারা।
২০২০ সালে আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল তাদের। একই মাসের শেষদিকে তিন ওয়ানডে খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট দলেরও জিম্বাবুয়ে সফরের কথা ছিল। কিন্তু সেই দুই সিরিজের একটিও আলোর মুখ দেখেনি। করোনার কারণে হয়ে গেছে বাতিল।
করোনার কারণে বারবার খেলা বাতিল ও পিছিয়ে যাওয়া জাতীয় দলের ওপর খুবই বাজে প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ব্যাটসম্যান ও সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। জিম্বাবুয়ের সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য স্ট্যান্ডার্ডে তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে এই বিরতিগুলো আমাদের কোনও সাহায্য করছে না।
টেলর আরও যোগ করেন, ‘আমি মনে করি, আমরা এমন একটা দল, যাদের নিয়মিত খেলা উচিত। আমরা সবসময়ই ক্রিকেটে অভাবে ভুগেছি। এ বছর (২০২০) আমাদের সামনে অনেক খেলা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে সবকিছুই অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। তাই এটা সত্যিই অনেক বেশি হতাশার।’