অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার (ক্যাসিনো খালেদ) বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি এ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারের লক্ষ্যে শিগগিরই এ চার্জশিট ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হবে।
চার্জশিটে খালেদের বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগ করা হয়। আর অবৈধভাবে অর্জিত ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ টাকা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাচারের তথ্যও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, খালেদের বিদেশে পাচার করা অর্থের সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের সরকারের কাছে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে। তথ্যাদি প্রাপ্তি সাপেক্ষে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে। চার্জশিটে ৪৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর খালেদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। দুদকের একই কর্মকর্তা বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন। মামলায় খালেদ অবৈধভাবে মোট ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজ দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তবে চার্জশিটে জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণ।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে গুলশান থানায় তিনটি এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে র্যাব। মামলাগুলোর মধ্যে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।