মাকে হত্যার দায়ে কুড়িগ্রামে ছেলের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার সকালে মন্তাজুল আলম (৩৬) নামের ওই অভিযুক্তের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এই আদেশ দেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এড. আব্রাহাম লিংকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মন্তাজুল এতটাই ঠান্ডা মাথার খুনি ছিল যে, হত্যার আগে তার মায়ের কাছে সে পোলাও মাংস খেতে চায়। তার মা এসব রান্না করে খেতে দেন। তারপর একটি কুড়াল দিয়ে নামাজরত মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে তার মা মেহেরজান মিনু নিহত হন। জেলার রাজারহাট উপজেলার উমর পান্তাবাড়ি গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২০ মার্চ মাসে নিহতের স্বামী সোলায়মান আলী ছেলের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, মাতৃ হন্তারক মন্তাজুলের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির সকলের সঙ্গে তিনি রাগারাগি করতেন। দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সে তার মায়ের কাছে বারবার অনুমতির জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তার মা রাজি হচ্ছিলেন না। এই ক্ষোভে তিনি মাকে হত্যা করেন। ঘটনার পরই পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে মন্তাজুল আটক করে বেঁধে রাখে।
এক বছরের বেশি সময় মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার সকালে এই মামলায় একমাত্র আসামি মন্তাজুলকে মাতৃহত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।