রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে ২০১৭ সালে মা-ছেলে খুনের ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী, তার তৃতীয় স্ত্রী এবং শ্যালককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রবিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। তারা হলেন- আবদুল করিম, তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি তিন আসামির সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।
মামলার বাদী আশরাফ আলী এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের পশ্চিম দিকে রাজমনি কার সেন্টার ও বায়রা ডাটাবেইজের মাঝের পাইওনিয়ার গলির ৭৯/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করা হয়। বাড়িটি আবদুল করিমের। তাদের বড় দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।
শামসুন্নাহার ব্যবসায়ী আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী। পরে ফরিদা নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ফরিদার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর মুক্তাকে বিয়ে করেন আবদুল করিম।
করিম মুদি পণ্যের ব্যবসা ছাড়াও এফডিসিকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে আবদুল করিম, মুক্তা ও জনিসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিমান্ড নেওয়ার পর জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তিন আসামির বিচার শুরু হয়।