ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২০১৯ বিশ্বকাপটা নিজের করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ের কথা তো আলাদা করেই বলতে হয়। উইলো হাতে ক্যারিয়ারের সেরা খেলাটি তিনি খেলেছেন ওই আসরে। প্রিয় পজিশন ৩ নম্বরে ব্যাট করে দুটি সেঞ্চুরি ও ৫টি ফিফটি করেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটিং অর্ডারে সেই জায়গা হারাচ্ছেন সাকিব।
বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের ব্যাটিং পজিশনে তিন নম্বর জায়গাটা নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যিনি দলে নিজের জায়গা পাকা করার জন্য লড়ছেন।
উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণার সময় থেকেই বলা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট ২০২৩ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য রাখছে। শান্তকে তিনে সুযোগ দেওয়াটাও সেই ভাবনারই একটি অংশ।
সোমবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সেখানেই বলেন, ‘শান্ত এখন ভালো ছন্দে আছে। শেষ সিরিজে তিনে খেলেছে সে। আমাদের কিছু তরুণ ব্যাটসম্যানকে গড়তে হবে। উপমহাদেশে তরুণ কাউকে গড়ার সুযোগ দিতে হলে সেটা সেরা তিনেই দেওয়া উচিত।’
আর সাকিব? তিন নম্বরে দেশের হয়ে সেরা পারফরম্যান্সটা তারই। ওয়ানডেতে এই পজিশনে ২৩ ম্যাচে ৫৮.৫৮ গড়ে করেছেন এক হাজার ১৭৭ রান। দুটি সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি ১১টি।
ডমিঙ্গো বলছেন, ‘সাকিব ফিরেছে, এটা খুশির খবর। বিশ্বকাপে তিনে নেমে সে দারুণ খেলেছে। এ মুহূর্তে আমি অভিজ্ঞদের চার, পাঁচ ও ছয়ে দেখছি। সেখানে সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদকে চিন্তা করছি। এটা আমাদের মিডল অর্ডারে ভালো অভিজ্ঞতা দেবে। উপমহাদেশে খেলা, মিডল অর্ডার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর উইন্ডিজ সিরিজ হবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। তাকে নির্ভার থেকে খেলতে দেওয়াও, তিন থেকে চারে নামিয়ে দেওয়ার অংশ।
ডমিঙ্গোর কথায় সেটা পরিষ্কার, ‘সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি অনেক দিন হলো। ৪ নম্বরে সে দম ফেলার সুযোগ পাবে। আমরা জানি সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার।’
ভবিষ্যতে সাকিবের তিনে ফেরার পথটাও খোলা রাখছেন ডমিঙ্গো, ‘এই ব্যাটিং লাইনআপ পাথরে গড়া নয়। বিশ্বকাপের অনেক দেরি। স্থায়ী ব্যাটিং লাইনআপ গড়ার আগে আমাদের কিছু বিষয় দেখতে হবে।’