ক্রিকেটে ৬ বলে এক ওভার হিসাব করা হয়। কিন্তু শুক্রবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আম্পায়াররা এই হিসাব রাখতে ভুলে গেলেন। ফলে মোস্তাফিজুর রহমান ৫ বল করতেই হয়ে গেল ওভার! তথ্য-প্রযুক্তির এত উন্নতির পরও এমন ভুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা ৪০তম ওভারের। প্রথম বলটি বৈধ করেন মোস্তাফিজ। যাতে কোনো রান আসেনি। তার পরের বলটিও ছিল বৈধ এবং ডট। তৃতীয় বলটি করতে এসে মোস্তাফিজ সীমানার বাইরে পা রাখায় আম্পায়ার ‘নো-বল’ ডাকেন। মোস্তাফিজের করা চতুর্থ বলটি ছিল বিমার, আবারও ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। পঞ্চম বলটিতে রোভম্যান পাওয়েল ২ রান নেন। মোস্তাফিজের বৈধ বলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩টি।
মোস্তাফিজ চতুর্থ এবং পঞ্চম বৈধ বল দুটিও ডট দেন। এরপরেই ঘটে আসল ঘটনা। অভিষিক্ত ফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল তার হিসাবে গড়বড় করে বসেন এবং ওভারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অথচ মোস্তাফিজের তখন বৈধ বল হয়েছে ৫টি এবং আরও একটি বল করার সুযোগ তার ছিল। এভাবেই জন্ম নিয়েছে বিভ্রান্তির। আর রুবেল হোসেনের নামের পাশে দেখানো বৈধ বলটি বাস্তবে ঘটেনি। দারুণ বোলিং করা মুস্তাফিজ ৭.৫ ওভারে ৩ মেডেন আর ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
৫ বলের ওভারের রহস্য নিয়ে অফিসিয়াল স্কোরাররা জানালেন, আম্পায়ারের ভুলে ৫ বলে একটি ওভার হয়ে গেছে। তাদের ধারণা, পরপর দুটি ‘নো’ ও দুটি ফ্রি-হিটের কারণে পরের ৪ বলের হিসাব ঠিকভাবে রাখতে পারেননি দায়িত্বরত আম্পায়ার গাজী সোহেল।
যদিও ক্রিকেটে এমন ঘটনা নতুন নয়। যেগুলোর সবই আম্পায়ারের ভুলে হয়েছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ৫ বলের ওভার দেখা গিয়েছিল। অ্যাডিলেডের ওই ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার করা ৩৮তম ওভারটি ৫ বলেই শেষ করে দেন দায়িত্বরত আম্পায়ার সিমন ফ্রাই।