কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে যৌতুকের জন্য স্ত্রী রেখা আক্তার (২০) কে জবাই করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঘাতক স্বামী জিয়া উদ্দিন (২৬) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কিরণ শংকর হালদার আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জিয়া উদ্দিন জেলার হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে।
অন্যদিকে নিহত রেখা আক্তার জেলার তাড়াইল উপজেলার হাতকাজলা গ্রামের হারেছ মিয়ার মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জিয়া উদ্দিনের সাথে রেখা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী জিয়া উদ্দিন শ্বশুরবাড়ির এলাকা হাতকাজলা গ্রামেই বাড়ি করে বসবাস শুরু করে।
তবে বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রেখাকে স্বামী জিয়া উদ্দিন মানসিক নির্যাতন করতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
এর জের ধরে ২০০৬ সালের ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ৮টার দিকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য জিয়াউদ্দিন তার ঘরে স্ত্রী রেখা আক্তারকে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরদিন ১৫ জুলাই রেখার বাবা হারেছ মিয়া বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় জিয়া উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরেরই (২০০৬ সালের) ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাড়াইল থানার এসআই লুৎফর রহমান আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য-জেরা শেষে আসামির অনুপস্থিতিতে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
সরকারপক্ষে স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম. এ আফজল এবং আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহুরা তামান্না ও অ্যাডভোকেট আবু তালেব আমান মামলাটি পরিচালনা করেন।