পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করছে সেটা অনেকের হিংসার কারণ। আল জাজিরা বাংলাদেশের উন্নতি দেখতে পারে না। তারা সব মুসলিম দেশেরই প্রতিপক্ষ। তাদেরকে আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করা উচিত।
মন্ত্রী আরো বলেন, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, তারা অন্য কারো লবিষ্ট হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
ড. মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই বডিগার্ড নিয়োগ করেননি। তার দলের লোকেরাই তার বডিগার্ড। আল জাজিরা ডাহা মিথ্যাচার করেছে। তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এসময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসন থাকলেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবো। আমরা এখনো রোহিঙ্গা সংকটে চীনের উপর আস্থা রাখছি।
তিনি বলেন, চীনের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে বাংলাদেশ। কারণ দেশটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই আশংকা করছে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে ওপার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে রোহিঙ্গারা। কিন্তু তাদের গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ।
এর আগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিকে ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছে সরকার। গত সোমবার রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে লন্ডন ও অন্যান্য জায়গায় সক্রিয় ‘উগ্রপন্থী ও তাদের সহযোগীদের উসকানিতে ‘বেপরোয়া ও নোংরা অপপ্রচার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।