রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকায় নিজ সাত বছরের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা মো. আক্তার সরদারের যাবজ্জীবন কারাণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দণ্ডিতদের আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং যা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানায় দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৩ মে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন শিশুটির মা। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী এবং আসামি স্বামী-স্ত্রী। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে শব-ই-মিরাজের নামাজ পড়ার জন্য ভিকটিমকে বাসায় রেখে পাশেই বোনের বাসায় নামাজ আদায় করতে যান ভিকটিমের মা। নামাজ শেষে ভোর ৫টার দিকে বাসায় আছেন। এসে দেখেন ভিকটিম কান্নাকাটি করছে। আক্তার সরদার তার মেয়ের পায়ের উরু মুছছে। বাদীকে দেখে তার স্বামী ও ভিকটিমের বাবা আক্তার সরদার দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে মাকে জানায়, তার বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পরে আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মিরাজ উদ্দিন। পরের বছর ৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।