লাখো লাখো মুসুল্লীদের অংশগ্রহণে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রবীণ শিক্ষক ও ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতীব শাইখুল হাদীস আল্লামা শামসুল ইসলামের (দা.বা.) নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ্ধসঢ়; ময়দান। সারাদেশ থেকে ছুটে আসেন মরহুমের সহপাঠি, সহকর্মী ও প্রিয় ছাত্ররা। জানাজার আগে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লাখো লাখো মুসুল্লীরা। সকাল সাড়ে দশটায় লাখো মুসুল্লূীর আবেগঘন অংশগ্রহণে শুরু হওয়া নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের জামাতা মাও. মোহাম্মদ।
প্রথমে হবিগঞ্জ জেলার স্বস্তিপুরস্থ গ্রামের বাড়িতে মরহুমের দাফনের কথা থাকলেও তাঁর ভক্ত, অনুরাগি, সহকর্মী ও প্রিয় ছাত্রদের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত বদলে কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়া বাগে জান্নাত কবরস্থানে আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ্ধসঢ়;’র কবরের ঠিক পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজে আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাও.শাব্বির আহমেদ রশিদ,শাইখুল হাদীস মাও.শফিকুর রহমান জালালাবাদী, সিনিয়র মুহাদ্দিছ মাও.ইমদাদুল্লাহসহ প্রশসনের কর্মকর্তা,জামিয়ার শিক্ষকবৃন্দ, সারাদেশ থেকে ছুটে আসা মরহুমের সহপাঠি, সহকর্মী ও প্রিয় ছাত্ররাসহ লাখো লাখো মুসুল্লীরা।
প্রসঙ্গত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার শাইখুল হাদীস, ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতীব আল্লামা শামসুল ইসলাম (৬৮) প্রায় ১৯ দিন আইসিইউতে থাকার পর সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ৫মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি তাঁকে প্রথমে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রথমে আজগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।